তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি:রংপুরের তারাগঞ্জে মাদ্রাসার দুই শিশু শিক্ষার্থীকে  জুসের সঙ্গে বিষ খাইয়ে ছুরি দিয়ে হত্যা করার চেষ্টার ঘটনায় মামলার ২০দিন পর অভিযুক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক গ্রেফতার।

 গতকাল বৃহস্পতিবার মাদ্রাসার শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করে তারাগঞ্জ থানায় নিয়ে আসেন পুলিশ। মাদ্রাসার দুই শিক্ষার্থীকে জুসের সঙ্গে বিষ পান করার অভিযোগে গত ২ নভেম্বর শিশুর অভিভাবক গোলাম মোস্তাফা তার সন্তানকে বিষ প্রয়োগে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ এনে শিক্ষক দোলোয়ার হোসেনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি মামলার দায়ের করেন।ঘটনাটি ঘটেছে ৩১অক্টোবর উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের পঞ্চায়েতপাড়া এলাকায়।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, উপজেলার মদিনাতুল করমি লিল্লাহ বোডিং মাদ্রাসার শিক্ষার্থী পঞ্চায়েতপাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তাফার ছেলে ইমরান হোসেন (১০) ও একই ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের খাজা মিয়ার ছেলে ইয়ামিন হোসেন (১১) ৩১অক্টোবর দুপুরে অভিযুক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন ইয়ামিন হোসেন ও  ইমরান হোসেনকে জ্বিন দেখাবেন বলে মাদ্রাসার পাশে একটি কবরস্থানে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে একটি গর্তে নামনো হয় ওই দুই শিক্ষার্থীকে। পরে তাদের চোখ কালো কাপড় দিয়ে বাঁধা হয় এবং চোখ খোলার চেষ্টা করলে জ্বিন তাদের বাবা-মার ক্ষতি করবে জানিয়ে জুস পান করতে বলেন ওই শিক্ষক। এ সময় ইমরান বমি করে। এতে ওই শিক্ষক দুই শিশুকে গালাগাল করতে থাকেন। তাদের কথাবার্তা শুনতে পেয়ে এক প্রতিবেশী এগিয়ে এলে ওই শিক্ষক পালিয়ে যায়। পরে ইমরানের পরিবারের সদস্যরা দুই শিশুকে উদ্ধার করে এবং তাদের কীটনাশকের গন্ধ পাওয়ায় তারাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক শিশু দুটির অবস্থার অবনতি দেখে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। প্রায় ৫দিন চিকিৎসা নিয়ে শিশু দুটি সুস্থ্য হয়ে বাড়িতে ফেরেন।

 এ ঘটনায় ২নভেম্বর শিশু ইমরান হোসেনের বাবা গোলাম মোস্তাফা ছেলেকে বিষ পানে হত্যার চেষ্টায় শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলার পর শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন এলাকা থেকে গাঁ ঢাকা দিয়ে পালিয়ে ছিলেন। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায় অভিযুক্ত শিক্ষককে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নীলফামারি উপজেলার সদর থেকে গ্রেফতার করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *