বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বীরগঞ্জে সাতোর ইউনিয়নের প্রাণনগর এলাকায় তথাকথিত আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা সাধন ঘোষ মাস্টারের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী কায়দায় ইসলাম মিয়া ভুটুলিয়ার বসতবাড়িতে প্রকাশ্য দিবালোকে ভাংচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এ ঘটনায় মহিলাসহ দু’পক্ষে ৭ জন আহত হয়ে বীরগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্হানীয়রা জানান, আজ ১৯ নভেম্বর সাধন মাষ্টার একদল ভাড়াটে লোক সাথে নিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রতিবেশী সাধারণ কৃষক ইসলাম মিয়া ওরফে ভুটুলিয়ার বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে তার একটি টিনচালা ঘর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে মালামাল লুটক করে । ঘরে অগ্নিসংযোগ করে। সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি টিম সেখানে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
সংঘর্ষে দুই পক্ষের ইসলাম নিয়া, সমিরন, মমিরন , আনোয়ারুল ও সজীব এবং প্রতিপক্ষের সাধন ঘোষ এবং সুবোধ ঘোষ আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
প্রতক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত ইসলাম মিয়া ও সাধন মাস্টার প্রভাবশালী হওয়ায় , মিথ্যা মামলার দিয়ে তাদেরকে হয়রানি করচ্ছে।
হামলায় ও সংঘর্ষে তার আনুমানিক সাড়ে তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন ইসলাম মিয়া।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সাধন ঘোষ মাস্টারের সাথে হাসপাতালে এসে কথা বললে তিনি জানান জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করা আছে এবং আমার জমি আমি দখল করব তাতে কার কি করার আছে করুক। ভাড়াটে বাহিনী এবং বেআইনিভাবে আদালতের আশ্রয়ে থাকা জমিতে হামলা করা সমীচীন কিনা প্রশ্নের জবাবে সাধন মাস্টার বলেন আমার জমি আমাকেই রক্ষা করতে হবে, তাই ভাড়াটে লোকজন নয়, আত্মীয়-স্বজন নিয়ে জমি দখল উদ্ধার করতে গিয়েছিলাম, এতে আমি ও আমার ভগ্নিপতি আহত হয়েছি।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় মমিরন জানান, সাধন মাস্টার এলাকার প্রভাবশালী লোক তার এক ভাই পুলিশের অফিসার নিজেও আওয়ামী লীগের নেতা, তাই আমরা সাধারণ মানুষকেও তোয়াক্কা করেন না। আমাদেরকে যে কোন মুহূর্তে জীবন নাশ করা সহ গ্রাম ছাড়া করবে বলে হুমকি দিচ্ছে। ন্যায় বিচারের স্বার্থে আমরা প্রশাসন সহ সর্বস্তরের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।
বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল গফুরের সাথে এ বিষয়ে কথা হলে তিনি জানান ৯৯৯ অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছে, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তোফাজ্জল/ আজাদ/সোহেল