ডোমার, নীলফামারী প্রতিনিধি।।একটি মসজিদের ভিতরে মাটির চারটি গর্ত থেকে মূর্তি, তাবিজ, ছবি ও মন্ত্র লেখা কাগজ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ফরেস্টপাড়া নূর জামে মসজিদে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ভোরে ডোমার পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডে ফরেস্টপাড়া নূর জামে মসজিদে ফজরে মুয়াজ্জিন আজান শেষে মসজিদ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করার সময় মসজিদের সিঁড়ির পাশে বিভিন্ন জায়গা নরম মাটি ও পানি দেখতে পান। মুয়াজ্জিন আনারুল ইসলামের সন্দেহ হলে পরে মসজিদের মুসল্লী সহ মাটি সরিয়ে চারটি গর্ত থেকে মূর্তি, তাবিজ, ছবি ও মন্ত্র লেখা কাগজগুলো উদ্ধার করা হয়।
ফরেস্ট পাড়ার সুরুজ আলী বলেন, মূর্তি ও তাবিজ এগুলো মানুষের ক্ষতি করার জন্য কেউ মাটিতে পুতে রাখতে পারে।
একই এলাকার কাসেম আলী বলেন, কেউ হয়তো রাতে কাউকে ব্ল্যাক ম্যাজিক করার জন্য, এগুলো মাটিতে পুতে রাখছে। যারা এ কাজ করেছে তাদের খুঁজে বের করে, তাদের কঠিন শাস্তি হওয়া উচিৎ।
ফরেস্টপাড়া নূর জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন আনারুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিনের মতো ফজরের আজান দিয়ে মসজিদ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করছিলাম৷ হঠাৎ মসজিদের সিড়ির পাশে দেখি মাটি নরম দেখা যাচ্ছে। আমি পা দিলে গর্তে আমার পা চলে যায়। তখন আমি গর্তের মাটি সরিয়ে দেখি সেখানে মূর্তি, তাবিজ, ছবি ও একটি লেখা কাগজ। পরে চার জায়গায় নরম মাটি সরিয়ে ৪টা গর্ত থেকে সেগুলো উদ্ধার করি।
ফরেস্টপাড়া নূর জামে মসজিদের সভাপতি কবির হোসেন বলেন, ফজরের নামাজের সময় মুয়াজ্জিন আজান দিতে গিয়ে নরম মাটি ও মাটির উপর পানি ছিটানো দেখতে পায়। তখন উনি মাটিতে পা দিয়ে চাপ দিতে গর্ত তৈরি হয়। তখন উনি সেখানে মূর্তি, তাবিজ ও বাচ্চা সহ তিন জনের ছবি দেখতে পায়। গর্ত থেকে তুলে সেগুলো এলাকার বিভিন্ন লোকজনকে দেখান এবং পরবর্তীতে আমাকে খবর দিলে আমি এসে এগুলো এলাকাবাসী মিলে নদীতে ভাসিয়ে দেই।
ডোমার বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মুফতি মাহমুদ বিন আলম বলেন, এ কাজ যে করেছে কুফরি করেছে। হয়তো কাউকে বস বা আয়ত্তে আনার জন্য এ কাজ করেছে। ইসলামে এগুলো জায়েজ নাই, এগুলো করলে ইমান থাকে না। এগুলো বাঁচার জন্য বেশি বেশি দোয়া ও আমল করতে হবে।