চিরিরবন্দরে ডিবি পুলিশের পরিচয়ে জিম্মি করে হাতিয়ে নেয়া প্রায় ৪ লক্ষ টাকা মালিককে ফেরত দিল পুলিশ।

স্টাফ রিপোর্টার.দিনাজপুর চিরিরবন্দরে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ইউপি সদস্যের সহযোগিতায় প্রায় ৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া টাকা পুলিশ উদ্ধার করে মালিকের নিকট হস্তান্তর করেছেন। অভিযুক্ত ৩ পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। 

এ ঘটনাটি গত ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় উপজেলার রানীরবন্দরের নশরতপুর ইউনিয়নে ঘটেছে।

জানা গেছে, ওইদিন দুপুরে উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের রানীরবন্দরে ইউনাইটেড কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে ৩ ব্যক্তি ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে। এসময় ওই ট্রেনিং সেন্টারে ৫০/৬০ জন কর্মচারীদের বেতনের টাকা দেয়ার প্রস্তুতি চলছিল। এসময় ওই ট্রেনিং সেন্টারের মালিক রানা ইসলাম ও পরিচালক মোঃ মামুন হোসেনকে ওই পুলিশ সদস্যরা হ্যান্ডকাপ লাগায় এবং সেখানে কর্মরত কর্মচারীদের সব মোবাইল ফোন জব্দ করে নেন। একপর্যায়ে নশরতপুর ইউপির জনৈক ইউপি সদস্য সেখানে উপস্থিত হয়ে ঘটনা মিমাংসা হয়েছে মর্মে উপস্থিত সকলকে জানান। 

এরপর ওই ডিবি পুলিশের সদস্যরাসহ নশরতপুর ইউপির ওই সদস্য এবং আরো কয়েকজন মিলে রানা ইসলাম ও মামুন হোসেনকে উপজেলার মরিয়ম চা বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে তারা তাদেরকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কর্মীদের বেতনের ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেন।

জব্দকৃত মোবাইলগুলোর মধ্যে দুইটি মোবাইল ফোন ওই ইউপি সদস্য আটক করে রাখেন এবং ওইদিন সন্ধ্যায় মোবাইল দেয়ার জন্য ট্রেনিং সেন্টারের পরিচালককে রানীরবন্দরের মোকলেছ টাওয়ারের নিকট ডাক দেন ওই ইউপি সদস্য। এসময় ইউপি সদস্য মোবাইল দেয়ার নামে তাদের নিকট আরও ২ লাখ টাকা দাবি করেন। এনিয়ে ওই ইউপি সদস্যের সঙ্গে তাদের বাক-বিতন্ডা সৃষ্টি হয়। ফলে এঘটনার সুষ্ঠু সমাধান ও জিম্মি করে টাকা আদায়ের ঘটনার প্রতিবাদে ওই ট্রেনিং সেন্টারের ফ্রিল্যান্সিং সদস্যরাসহ স্থানীয় লোকজন আনুমানিক রাত ৮টায় রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক অবরোধ করে। 

মহাসড়ক অবরোধের সংবাদ পেয়ে চিরিরবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুল মালেক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিস্তারিত অবগত হন এবং ঘটনার সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দিলে অবরোধকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন। এসময় অবস্থা বেগতিক দেখে ইউপি সদস্য মোবাইল ফোনগুলো মালিককে ফেরত দেন।

এ ঘটনার পর গত ৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে চিরিরবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চাঁদাবাজির টাকা উদ্ধার করে মালিকের নিকট হস্তান্তর করেন। তিনি আরও জানান, অভিযুক্ত ৩ পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *