ডোমার প্রতিনিধ : ডোমার নীলফামারীতে , ৫০ শতাংশ পুকুরে চিতল উচ্চ মূল্যের মাছ চাষে সফলতা হয়েছে
নুরেন জাকারিয়া, পিতা: মো: ফজলুল করিম, চান্দখানা, মাস্টার পাড়া কেতকি বাড়ি ইউনিয়ন, ডোমার, নীলফামারী, তার ৫০ শতাংশ পুকুরে চিতল মাছ চাষ করেছেন।
সাক্ষাতে জানা যায় তিনি প্রায় ১.৫ বছর আগে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায়, সেলফ হেলপ এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন প্রোগ্রাম (শার্প) সংস্থার কৃষি ইউনিট (মৎস্য খাত) এর আওতায় “উচ্চ মূল্যের চিতল- কার্প মিশ্র চাষ” প্রদর্শনীর মাধ্যমে চিতল মাছ চাষের সুযোগ পান।
তিনি বলেন, শুরুতে একটু ভয়ে ছিলাম যে চিতল মাছের সাথে কার্প জাতীয় মাছ( যেমন রুই, মৃগেল, বাটা, কমন কার্প প্রভৃতি) চাষ করা যাবে কিনা, যদি চিতল মাছ সব খেয়ে ফেলে। এরপর শার্প এনজিও এর মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ রবিউল আলম ভাই এবং সহকারি মৎস্য কর্মকর্তা দিপংকর রায় দাদার পরামর্শে ৫ ইঞ্চি আকারের ১৪৫ পিস চিতল মাছের পোনা মজুদ করি এবং একই আকারের রুই, কাতলা, সিলভার কার্প, কমন কার্প মাছের পোনা মজুদ করি। উনাদের পরামর্শ মোতাবেক চিতল মাছের জীবন্ত খাদ্যের জন্য ২০ কেজি দেশী তেলাপিয়া ব্রুড মাছ মজুদ করি। যাতে দেশী তেলাপিয়া মাছ পোনা দিবে এবং চিতল মাছ তা খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করবে। এর পাশাপাশি কিছু দেশী পুঁটি এবং দারকিনা মাছ মজুদ করি। কার্প জাতীয় মাছ এবং তেলাপিয়া মাছের খাদ্যের জন্য হাতে বানানো খাদ্য প্রয়োগ করি।
তিনি জানান প্রায় ১বছর ৪ মাস পরে চিতল মাছ বিক্রি করি প্রায় ৫০ পিস, যেখানে প্রতিটি মাছের ওজন ছিল ২ কেজি হতে হতে ৩.৫ কেজি, কেজি প্রতি দাম পেয়েছি ৩৫০/- টাকা হতে ৪২০/- টাকা পর্যন্ত। এ পর্যন্ত চিতল মাছ বিক্রি করেছি প্রায় ৪৩৭০০/- টাকা। পুকুরে আরও প্রায় ১০-১৫ পিস মজুদ রয়েছে। এর পাশাপাশি কার্প জাতীয় মাছ বিক্রি করি প্রায় ৪২০০০/- টাকা। চিতল মাছ চাষি নুরেন জাকারিয়া আরও জানান যে তার চিতল মাছের চাষ দেখে প্রতিবেশী মোঃ শফিকুল ইসলাম, পিতা মৃতঃ খয়ের উদ্দিন সরকার ১ বছর আগে ২৫ পিস চিতল মাছের পোনা মজুদ করেন যা বর্তমানে প্রায় ১.৫-২ কেজি পর্যন্ত ওজন হয়েছে। ইতিমধ্যে আমি ৫০ পিস চিতল মাছের পোনা এবছর মজুদ করেছি।
চিতল মাছ চাষের সুবিধা- অসুবিধা স¤পর্কে জানতে চাইলে শার্প সংস্থার মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ রবিউল আলম জানান যে চিতল মাছ চাষের বড় সুবিধা বাণিজ্যিক ফিডের দরকার নেই, ১ টি চিতলের জন্য ৫-৭ টি দেশী তেলাপিয়া ব্রুড মাছ মজুদ করলেই যথেষ্ট। অসুবিধা হচ্ছে বড় আকারের চিতল পুকুরে চাষ করলে বড় আকারের কার্প জাতীয় পোনা ব্যতীত ছোট আকারের পোনা মজুদ করা যায় না এবং চিতল বেশী বড় হলে চুরির সম্ভাবনা থাকে।