মো:রেজাউল করিম রঞ্জু,নীলফামারী.
রাস্তা নয়,মনে হয় যেনো এটি একটি মরণ ফাঁদ। কাঁচা রাস্তাটি পাকা করনের দাবী জানান স্থানীয় সহ পথচারীদের। এটি নীলফামারী সদরের লক্ষীচাপ ইউনিয়নের সহদেব বড়গাছা গ্রামের চিত্র। রামগঞ্জ বাজার হইতে সহদেব বড়গাছা গ্রামের ওপড় দিয়ে মহাসড়ক অচিনতলা বাজারের সংযোগ রাস্তা এটি। প্রায় ৩ কিলোমিটারের এই রাস্তাটি চলাচলের অনুপোযোগী। তবুও প্রয়োজনের তাগিদে কষ্ট করে কাঁদা পানি ভেঙ্গে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। বর্ষার সময় কাঁদা পানি। আর গ্রীষ্মের সময় ধুলা বালি ও খানা খন্দে ভরা, তবুও প্রতিদিন ভোগান্তিতে চলাফেরা করেন পথচারীরা। এটি জেলা শহড়ে যাওয়ার একমাত্র গুরুত্বপুর্ণ রাস্তা।
জনপ্রতিনিধি ও সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের পিছনে বার বার ধরনা দিলেও রাস্তাটি পাকা করার বিষয়ে কেউ ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় শতশত মানুষ। কাঁচা রাস্তাটি পাকা করণের জোর দাবী জানান স্থানীয় সহ পথচারীরা। রাস্তাটি পাকা হলে এই এলাকার মানুষের জীবন মান পরিবর্তন হবে।
রাস্তাটির উত্তরের গ্রামগুলি দাঁড়িহারা,ককই,কচুয়া,তরনীবাড়ী,নীলাহাটি পূর্ব দিকের গ্রামগুলি সহদেব বড়গাছা,নৃসিংহ,দুবাছুরি,সুখধন,পলাশবাড়ী এই ১০টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসা,হাট বাজার ও জেলা শহড়ে যাতায়াত করেন।
স্থানীয় ব্যক্তি রবিউল ইসলাম রুবেল বলেন, এই রাস্তাটি জেলা শহড়ে যাওয়ার একটি গুরুত্বপুর্ণ রাস্তা। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন দুর্ভোগে। বর্ষার সময় কাঁদা মাটি পানি, গ্রীষ্মের সময় ধুলাবালি গর্ত দিয়ে যাতায়াত করা অসম্ভব হয়ে যায়। তাই এই রাস্তাটি জরুরী পাকা হওয়ার প্রয়োজন।
পথচারী ডালিম রায় বলেন,এটি রাস্তা নয় যেনো মরণ ফাঁদ। আমি ধান, ভুট্টা,পাটের ব্যবসা করি। ভ্যান গাড়ীতে মালামাল নেওয়ার কোন উপায় নেই। বর্তমানে রাস্তায় প্রায় হাটু পরিমান কাঁদা। এতো দুর্ভোগ, তবুও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা রাস্তাটির বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেননা। শুধু স্থানীয় আর কে আর একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রাস্তাটির খানা খন্দে মাটি ভরাট করেন।
লক্ষীচাপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, রাস্তাটি দিয়ে আমি মাঝেমধ্যে দুর্ভোগে যাতায়াত করি। বর্ষা বা খরা কোন মৌসুমেই রাস্তাটি দিয়ে যাতায়াত করা মুশকিল। জেলা এলজিইডি অফিসে যোগাযোগ চলছে।
এলজিইড নির্বাহী প্রকৌশলী ফিরোজ হাসানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,রাস্তাটি সম্পর্কে আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।
