প্রতিনিধি, তারাগঞ্জ (রংপুর):
ডানে আওয়ামী লীগ নেতা বামে পুলিশের সোর্সকে সাথে নিয়ে বিয়ে বাড়ির আনুষ্ঠানে ওসিকে দাওয়াত খেতে দেখা গেছে। ৩জুন রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের উত্তর ঘনিরামপুর থানাপাড়া গ্রামের শিবচরণ রায়ের মেয়ে সুমনা রায়ের বিয়ে বাড়ির আনুষ্ঠানে গিয়ে এ-দৃশ্যকাব্যে দেখা গেছে। এঘটনায় তারাগঞ্জ উপজেলা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। খোঁজনিয়ে জানা গেছে, তারাগঞ্জ থানার ওসি ফারুক আহম্মেদ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান মিলনকে তার ডান হাতের পাশে বসিয়েছেন এবং ষৈরাচারী আওয়ামী সরকারের আমলে তারাগঞ্জ থানার সোর্স নাজমুল হোসেনকে তার হাতের বাম পাশে বসিয়ে বিয়ে বাড়ির দাওয়াত খাওয়ার ঘটনায় পুড়া তারাগঞ্জ উপজেলা জুড়ে নানা সমালোচনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ওসি ও আওয়ামী লীগ নেতা ভাত খান আর ফুসফাস গল্প করেন। আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, আমার ছোট ভাই উপজেলা বিএনপির বড় নেতা। ওসি বলেন, তাই নাকি! এ ঘটনায় এলাকার সুধি সমাজ সহ নানা পেশা শ্রেণির মানুষজন এই ওসিকে অন্যত্র বদলির দাবি করছে। এছাড়াও অনেকে বলছেন ওই ওসি ফারুক আহম্মেদ তারাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগকে পূর্ণ বহালের জন্য নানা প্রকার জোড়া তালি বুদ্ধি আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের শিখিয়ে দেয়ার ও অভিযোগ উঠেছে। ওই ওসির এমন কর্মকান্ডে তারাগঞ্জ উপজেলার এনসিপি, এবিপার্টি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, বিএনপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাপত মজলিস সহ বেশ কিছু রাজনৈতিক দল ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলেন, আওয়ামী লীগের সময়ে সৈরাচারী এমপি ডিউকের নাম ব্যবহার করে ওই প্রভাবশালী সৈরাচারী সরকারের আমলে কুর্শা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান মিলন খুব দাপট খাটিয়েছে। সেই আওয়ামী লীগ সৈরাচারীদের সাথে ওসির ভাত খাওয়া ছবি ভাইরাল হয়েছে। ফলে এলাকাবাসী পুলিশ বিভাগের উদ্ধতণ কর্তৃপক্ষের কাছে সরেজমিন তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি করছে। এঘটনায় অভিযুক্ত তারাগঞ্জ থানার ওসি ফারুক আহম্মেদ বলেন, ওই লোক নেতা না কি, আমি ঠিক ভাবে চিনি না। তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবেল রানা বলেন, এঘটনার সংক্রান্তে আমি কিছু জানি না।